যা’রা ধর্ম্মকথা কয়,
করে না,–
তারা ধৰ্ম্মকথক,
আর, যারা ধর্মকথা কয়
ও আচরণ করে—
তা’রাই ধার্ম্মিক,
তা’রাই বাস্তব যাজক,
কারণ, তা’দের কথন ও চলন
দুই-ই যাজন করে;
শুধু উপদেশ দেওয়ার চাইতে
আচরণ করা আরাে ভাল,
কিন্তু ক’রে-ক’রে উদাহরণ হওয়া
ঢের ভাল।
(যাজী-সূক্ত/৪২)
মানুষের ভাল যা’
যত পার ঢাক-বাজিয়ে বল
সবারই কাছে–
কিন্তু কুৎসিত যা’
তা’ তা’রই কাছে ব’লাে
গােপনে—এমনতরভাবে–
তােমার বলা যেন তা’কে প্রলুব্ধ ক’রে তােলে–
ভাল হ’তে—ভাল ক’রতে
—ভাল চলতে,
আর, এটা ততক্ষণ
যতক্ষণ না সে সংক্রামক হ’য়ে ওঠে;
তা’তে তােমার প্রসাদ-প্রেরণা
প্রসন্নতার পথেই এগিয়ে দেবে তা’কে–
অন্তরকে শ্রদ্ধাবনত ক’রে,
নয়তাে সেও ব্যর্থ হবে
তুমিও ব্যর্থ হবে।
(যাজী- সূক্ত/৭৭)